বিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করতে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে এস.এম আল-মামুন সুমন
হাইমচর প্রতিনিধিঃ
হাইমচর উপজেলার নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের করা অভিযোগের তদন্ত চলাকালে প্রাক্তন সিনিয়র ও জুনিয়র ছাত্রদের সাথে কমিটি নিয়ে বাকবিতন্ডায়।
প্রাক্তন ছাত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ইউপি সচিব সোহাগ পাটওয়ারী, প্রাক্তন ছাত্র,হাইমচর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক জাহিদ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী যাঁরা প্রাক্তন ছাত্র।প্রাক্তন ছাত্রদের কমিটি নিয়ে প্রাক্তন সিনিয়র ও জুনিয়রদের মাঝে মুখোমুখি বাকবিতন্ডায় সৃষ্টি হয়,উক্ত বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের বাহিরে মুখোমুখি তর্ক ও বিতর্ক হয়।সেই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে এমনটি উপস্থিত সাংবাদিক ও পুলিশ এবং ম্যানেজিং কমিটির কেউ অবগত হয়নি।পরবর্তীতে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দেখলাম দুজন শিক্ষক আহত হয়েছে।বিষয়টি সাজানো ও বানোয়াট বললেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম।
এসময় দুই পক্ষই উত্তেজিত হয় এবং একে অপরকে বিভিন্ন ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি ধমকি দেয়।
অফিস কক্ষের ভেতরে অডিট চলাকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(মোস্তফা কামাল)ও প্রতিনিধি সহ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম,বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস.এম আল-মামুন সুমন ও অভিভাবক সদস্য সোহারাব হোসেন টিটু জমাদার,সহকারী শিক্ষক আলী আকবর,সহকারী শিক্ষক মাহবুব আলম।উপস্থিত ছিলেন,অভিযোগ কারী সাবেক দুই সিনিয়র ছাত্র(সাবেক বাসদ নেতা) নাছির আহাম্মেদ,শরিফ আখন।
দু’পক্ষের বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনা হয়ে পরিস্থিতি দেখে আগত অডিট কমিটির কর্মকর্তা বৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে অডিটের সময় নির্ধারণ করা হবে।আজকের অডিট সম্পর্কে তিনি বলেন,আজকের অডিট কমিটিরা বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখে অডিট এর কাজ বন্ধ করে চলে যান।
৩ এপ্রিল রোজ বুধবার,নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন দের করা অভিযোগের অডিট এর দিন ধার্য্য করা হয়।ও তাহা বাঞ্চাল করা হয়।
প্রাক্তন ছাত্র সোহাগ পাটওয়ারী ও জাহিদ হাসান বলেন(সিনিয়র দের করা মনগড়া এলামনাই এসোসিয়েশন এর কমিটি জুনিয়র প্রাক্তন ছাত্ররা মানেন না)।উক্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়,কোন শিক্ষকদের সাথে কোন প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।সিনিয়র প্রাক্তন ও জুনিয়র প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে বাকবিতন্ডায় ও তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয় মেনেজিং কমিটির সভাপতি এসএম আল-মামুন সুমন জানান।প্রাক্তন ছাত্রদের কথা কাটাকাটির এক মুহুর্তে বাহিরে থেকে এসে সদ্য বিদায়ী ছাত্র মাহি তাহার বাবা নাছির মাস্টার কে কেউ মেড়েছে শুনে বিদ্যালয়ে তার সংঘ পাঙু নিয়ে প্রবেশ করে এবং বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমারির উপর থেকে হাতিয়ার স্বরূপ ক্রিকেট ভেট কে নামানোর সময় কাঁচের গ্লাস পড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের দুইজন স্বনামধন্য সহকারী শিক্ষক এক্সিডেন্ট হয়।উক্ত বিষয়টি আমি পরে জানতে পারি।আমি বিদ্যালয়র সভাপতি হিসেবে উক্ত ঘটনার সমর্থন করছি না।
তারিধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ একাধিক ব্যক্তির নামে হাইমচর থানায় একটি রেগুলার মামলা দায়ের করা হয়,উক্ত মামলা থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করি।
আজ ৭’ই এপ্রিল শবে কদরের সরকারি বন্ধের মধ্যে বহিরাগত ও টাকায় কেনা কিছু নারীপুরুষ,গাছ কাটার শ্রমিক ও সাবেক কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী ছাত্ররা মিলে একটি মানববন্ধন সাজিয়েছে।যাহা নিতান্তই একটি ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বললেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম।
এস এম আল-মামুন সুমন বলেন,বিগত ১০’বছরে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আপার সহযোগিতায় ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।একটি বিদ্যালয়ে দূর্নীতি করা বা সহযোগিতা করার কোন মন-মানসিকতা অন্তত আমার নেই।কালের বিবর্তনে মেঘনার ভাঙ্গনে নীলকমল ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি জনতা বাজার আসার পর থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।
এখন একটা কুচক্রী মহল প্রাক্তন ছাত্র নামে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের বদনাম ছড়াচ্ছে ও বিদ্যালয়ের প্রতি কতৃত্ব প্রয়োগ করতে ব্যস্থ হয়ে পড়েছে।আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আর তাই আইনের মাধ্যমেই সঠিক বিচারের দাবী করছি।