1. news1@haimchartime.com : admin :
Logo
শিরোনাম :
হাইমচরে ভয়াবহ আগুনে প্রতিবন্ধী বাবুল গাজীর চা দোকান পুড়ে ছাই ভাই বন্ধু যুব সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যালয় উদ্বোধন চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধার জমি নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে দখলের পাঁয়তারা হাইমচরে ঔষধের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা। হাইমচর উপজেলা, আলগী বাজার, থানা রোডে মুদি দোকানে রাতের বেলায় দুর্ধর্ষ চুরি। হাইমচরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন চমক বিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করতে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে এস.এম আল-মামুন সুমন মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র পক্ষ ঈদ উপহার দেওয়া হয় মোঃ হোসেন গাজী।। একতা সততা সেবা সমৃদ্ধি এই স্লোগানকে সামনে রেখে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত চাঁদপুর-হাইমচরের ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। ৬ এপ্রিল শনিবার বিকালে বাংলা বাজার কার্যালয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা- হোসাইন মিয়া ভুট্টো, উপদেষ্টা- আখন মোঃ মিজানুর রহমান ফাহিম, বোরহান উদ্দিন গাজী, জাহাঙ্গীর গাজী, হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহাফুজুর রহমান স্বপন এবং প্রতিষ্ঠাতা- কে এম ফরিদ হোসেন হৃদয়, আখন মোঃ শরীফ হোসেন, পরিচালক- আখন মোঃ ইসমাইল, আরিফুল ইসলাম মিজি, প্রতিষ্ঠাতা সদস‍্য- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পাটওয়ারী সাদ্দাম, দাতা সদস্য- সুমন খান সহ সংগঠনের সবার আর্থিক সহযোগিতা ও সুপরামর্শে সংগঠনের প্রশাসনিক উপদেষ্টা-মোঃ মজিবুর রহমান কবিরাজের সভাপতিত্বে ও মোঃ সুমন কবিরাজ এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠনের উপদেষ্টা- মোঃ মাকসুদ আলম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, দুবাই প্রবাসী ও সংগঠনের উপদেষ্টা- মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম রানা, উপদেষ্টা- মোঃ আবুল বাশার বাবু কাজী, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম বাবু পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি কালাম হোসেন চৌকিদার, আজীবন সদস্য-মমিন কবিরাজ, লিমন কবিরাজ, শামিম গাজী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ সাদ্দাম কবিরাজ, সাধারণ সম্পাদক- হাসান মিজি, রাজিব কবিরাজ, সিয়াম পাটওয়ারী, জুয়েল মৃধা সহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হাইমচরে ইউএনও’র পদোন্নতিজনিত বিদায় ও নবাগত ইউএনও’র বরণ মসজিদের প্রবীণ ইমামের উপর প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলা।এলাকাবাসীর ক্ষোভ

কিশোর গ্যাং জাতির এক অভিশাপ।

কিশোর গ্যাং জাতির এক অভিশাপ।

সম্পাদকীয় লেখা —

এ সময়ে দাপট, ইগো প্রদর্শন করলেই হিরো হওয়া যায়। তাই কিশোরেরা হিরো হওয়ার জন্য গ্যাং সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে। তারা হিরো হতে গেলে আনুষঙ্গিক আরও যা লাগে, অর্থাৎ অস্ত্র, নেশা আর টাকার লোভও তাদের পিছু ছাড়ছে না। ফলে অপরাধী হওয়ার দিকে কিশোরদের কেউ কেউ এক পা সামনে বাড়িয়েই রেখেছে। আর কিশোরদের গ্যাংয়ে রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে মাফিয়াতন্ত্রের ও রাজনৈতিক বিশাল একটা সম্পর্ক আছে।

কিশোর গ্যাং কালচারের পেছনে রয়েছে নানা কারণ। যেমন গ্যাং সদস্যদের অধিকাংশই দরিদ্র ও স্কুল থেকে ঝরে পড়া ছাত্র এবং এরা অনেকেই নিজের বাবার পরিচয় দেয়না কোন রাজনৈতিক নেতার ও বড় ভাইয়ের পরিচয় চলে। এসব কিশোর প্রযুক্তিকেন্দ্রিক জীবন ও বিনোদন, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, পারিবারিক বন্ধন আলগা হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মাদকের নেশায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলে। পরে এরা সমবয়সী অন্য কিশোরদের সঙ্গে মিলে অন্য একটি গ্রুপ তৈরি করে। এরপর কয়েকজন মিলে তৈরি করে একটা গ্যাং। এটা প্রজন্মগত সমস্যা। এদের কে রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন সময় মিছিল মিটিং ভারি করা ও নির্বাচনীয় ও বিভিন্ন সময় মারামারির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ থেকে এরা আরও সহসী ও উদ্যোগী হয়। কিন্তু এদের ভবিষ্যৎ এভাবেই অন্ধকারে ঝড়ে পড়ে।

উদ্বেগের বিষয় হলো, নেশার টাকা জোগাড় করতে ছোটখাটো অপরাধে জড়ানো কিশোর অপরাধীরা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী, এলাকার ত্রাস ও ছেছড়া চোর বেয়াদব হিসেবে ও চিহ্নিত। বিভিন্ন শহরে ভাড়াটে হিসেবে তারা এখন মানুষ হত্যার মতো অপরাধেও যুক্ত হচ্ছে।

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। পরবর্তী প্রজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে কিশোর অপরাধের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। তা না হলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে এদের কারনে সমাজের ভালো মেধাবী ছেলাগুলাও নষ্ট হচ্ছে।।

সমাজকাঠামো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাফিয়াকেন্দ্রিক রাজনীতির ফলাফল হলো ‘কিশোর গ্যাং’। রাজনীতি যখন ক্ষমতা প্রদর্শন এবং অর্থ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে, তখন ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্য একটা বাহিনী গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়ে। এই বাহিনী দিয়েই এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসবের জন্য কিশোরদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, বিশেষ করে সরকারদলীয় স্থানীয় নেতারা। কিছু ক্ষেত্রে ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা কিশোরদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সেটা শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নয় সারা বাংলাদেশের জেল, থানা পর্যায়ে জড়িয়ে গিয়েছে এই কিশোরগঞ্জের আধিপত্য।

আজকের পত্রিকায় রোববার কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদসূত্রেই জানা গেছে, ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবর ও হাজারীবাগ এলাকায় সক্রিয় কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

খবরটা শুনে আমাদের খুশি হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করে তো আর অপরাধমুক্ত করা যাবে না। তা যদি হতো, তাহলে এর আগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করার পর অপরাধ বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। কিশোরেরা কেন অপরাধে জড়ায় এবং কারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়—এ দুটি সমস্যার আসল কারণ আগে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর সমাধানের পথ বের করতে হবে।

সবার আগে অভিভাবকদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিই তাঁদের সন্তানদের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করতে পারে। এরপর বড় দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর,আইনশৃঙ্খলা বাহীনি যদি প্রতিটি থানায় তৎপর হয় তাহলেই এদের কে নির্মূল করা অনেকটাই সম্ভব।
কিশোর গ্যাংয়ের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদেরও হাত গুটিয়ে নিতে হবে। তাহলেই কেবল এই অভিশাপ থেকে বের হওয়ার একটা পথ সৃষ্টি হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র পক্ষ ঈদ উপহার দেওয়া হয় মোঃ হোসেন গাজী।। একতা সততা সেবা সমৃদ্ধি এই স্লোগানকে সামনে রেখে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত চাঁদপুর-হাইমচরের ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। ৬ এপ্রিল শনিবার বিকালে বাংলা বাজার কার্যালয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা- হোসাইন মিয়া ভুট্টো, উপদেষ্টা- আখন মোঃ মিজানুর রহমান ফাহিম, বোরহান উদ্দিন গাজী, জাহাঙ্গীর গাজী, হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহাফুজুর রহমান স্বপন এবং প্রতিষ্ঠাতা- কে এম ফরিদ হোসেন হৃদয়, আখন মোঃ শরীফ হোসেন, পরিচালক- আখন মোঃ ইসমাইল, আরিফুল ইসলাম মিজি, প্রতিষ্ঠাতা সদস‍্য- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পাটওয়ারী সাদ্দাম, দাতা সদস্য- সুমন খান সহ সংগঠনের সবার আর্থিক সহযোগিতা ও সুপরামর্শে সংগঠনের প্রশাসনিক উপদেষ্টা-মোঃ মজিবুর রহমান কবিরাজের সভাপতিত্বে ও মোঃ সুমন কবিরাজ এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠনের উপদেষ্টা- মোঃ মাকসুদ আলম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, দুবাই প্রবাসী ও সংগঠনের উপদেষ্টা- মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম রানা, উপদেষ্টা- মোঃ আবুল বাশার বাবু কাজী, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম বাবু পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি কালাম হোসেন চৌকিদার, আজীবন সদস্য-মমিন কবিরাজ, লিমন কবিরাজ, শামিম গাজী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ সাদ্দাম কবিরাজ, সাধারণ সম্পাদক- হাসান মিজি, রাজিব কবিরাজ, সিয়াম পাটওয়ারী, জুয়েল মৃধা সহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জাগরণী আদর্শ শিশু শিক্ষা নিকেতন এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরন মোঃ হোসেন গাজী।। হাইমচরে ঐতিহ্যবাহী জাগরণী আদর্শ শিশু শিক্ষা নিকেতন এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরুষ্কার বিতরন, অতিথিদের জাগরনী আদর্শ শিশু নিকেতন এর পক্ষ থেকে সম্মানন স্মারক প্রদান করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে জাগরনী আদর্শ শিশু নিকেতনের মাঠে মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জাগরনী আদর্শ শিশু নিকেতন এর প্রতিষ্ঠাতা এস, এম, আলম হোসেন এর সভাপতিত্বে ও হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক সহকারি অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান মোখলেছুর রহমান মুকুল এর পরিচালনায়, প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা,উপজেলা ভূমি কমিশনার আব্দুল্লা আল ফয়সাল হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াছিন, চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও হাইমচর প্রেসক্লাব সভাপতি খুরশিদ আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, হাইমচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল উজ্জামান খান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল, মোঃ জুলফিকার আলী জনি,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন মাস্টার, আবদুল মান্নান, শাহ আলম পাটওয়ারী, জিল্লুর রহমান, আবু তাহের সরদার, সহ জাগরনী আদর্শ শিশু নিকেতনের ছাত্র -ছাত্রী ও সহ শিক্ষক,অবিভাবক ও বিভিন্ন সামাজিক নেতৃবৃন্দ। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনকারী কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মাঝে পুরস্কার এবং সম্মানন স্মারক দেওয়া হয়। প্রধান অতিথি হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মতো বিজয় অর্জন করবে।

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD